প্রকৃতির নিয়মে বয়স বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পাশাপাশি ত্বকেও ছাপ পড়ে। তবে পরিবর্তিত জলবায়ু, অতিরিক্ত দূষণে বয়সের আগেই অনেকের ত্বকে ছাপ ফেলছে। এজন্য কেউ কেউ অ্যান্টি অ্যাজিং নানা ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেন। কিন্তু ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে শুধু ক্রিমই যথেষ্ট নয়। শরীর ভিতর থেকেও সুস্থ রাখতে হবে। এজন্য খাদ্যতালিকায় নিয়মিত কিছু খাবার রাখা জরুরি। যেমন-
পানি: ত্বকে বয়েসের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত পানি পানের জুড়ি নেই। পানি খেলেই যেমন শরীরের একাধিক রোগব্যাধি জব্দ হয়, তেমনই ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান হতে পারে। এ কারণে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়লেই ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা বাড়ে, ত্বকের চামড়া ঝুলে যায়। দিনে পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। এর ফলে ত্বক থাকে সুস্থ।
দই: দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে, যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখে। দইয়ে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কাঠবাদাম: ত্বকের বলিরেখা দূর করে বয়সকে ঠেকিয়ে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় কাঠবাদাম। এতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই থাকায় এটি ত্বককে সতেজ রাখে।
পাকা পেঁপে: এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। ত্বকে বয়েসের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেঁপে রাখতেই হবে। পেঁপে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। ত্বকের দাগছোপ দূর করতেও ভীষণ উপকারী এই ফল।
অ্যাভোকাডো: ত্বকের কোষকে সুন্দর এবং তরতাজা দেখাতে শরীরে লিনোলেনিক অ্যাসিড এবং আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড প্রয়োজন। অ্যাভোকাডোর মধ্যে এই দু’টি ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও রয়েছে উপকারী মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা বলিরেখা দূর করতে ভূমিকা রাখে।