সুরা গাশিয়াহর ১৭-২৬ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
(১৭)
اَفَلَا یَنۡظُرُوۡنَ اِلَی الۡاِبِلِ کَیۡفَ خُلِقَتۡ
উচ্চারণ: আফালা ইয়ানজুরুনা ইলাল ইবিলি কাইফা খুলিকাত।
অর্থ: তবে কি তারা উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না, কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে?
(১৮)
وَاِلَی السَّمَآءِ کَیۡفَ رُفِعَتۡ
উচ্চারণ: ওয়া ইলাস-সামাই কাইফা রুফিআত।
অর্থ: আর আকাশের দিকে, কীভাবে তা ঊর্ধ্বে স্থাপন করা হয়েছে?
(১৯)
وَاِلَی الۡجِبَالِ کَیۡفَ نُصِبَتۡ
উচ্চারণ: ওয়া ইলাল জিবালি কাইফা নুসিবাত।
অর্থ: আর পর্বতমালার দিকে, কীভাবে তা স্থাপন করা হয়েছে?
(২০)
وَاِلَی الۡاَرۡضِ کَیۡفَ سُطِحَتۡ
উচ্চারণ: ওয়া ইলাল আরদি কাইফা সুতিহাত।
অর্থ: আর জমিনের দিকে, কীভাবে তা সমতল করা হয়েছে?
(২১)
فَذَکِّرۡ اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مُذَکِّرٌ
উচ্চারণ: ফাযাক্কির ইন্নামা আনতা মুযাক্কির।
অর্থ: অতএব তুমি উপদেশ দাও, তুমি তো একজন উপদেশদাতা মাত্র।
(২২)
لَسۡتَ عَلَیۡہِمۡ بِمُصَۜیۡطِرٍ
উচ্চারণ: লাসতা আলইহিম বিমুসাইতির।
অর্থ: তুমি তাদের উপর শক্তি প্রয়োগকারী নও।
(২৩)
اِلَّا مَنۡ تَوَلّٰی وَکَفَرَ
উচ্চারণ: ইল্লা মান তাওয়াল্লা ওয়া কাফার।
অর্থ: তবে যে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং কুফরি করে,
(২৪)
فَیُعَذِّبُہُ اللّٰہُ الۡعَذَابَ الۡاَکۡبَرَ
উচ্চারণ: ফাইউআযযিবুহুল্লা-হুল আযাবাল আকবার।
অর্থ: আল্লাহ তাকে কঠোর আজাব দেবেন।
(২৫)
اِنَّ اِلَیۡنَاۤ اِیَابَہُمۡ
উচ্চারণ: ইন্না ইলাইনা ইয়াবাহুম।
অর্থ: নিশ্চয় আমারই নিকট তারা ফিরে আসবে।
(২৬)
ثُمَّ اِنَّ عَلَیۡنَا حِسَابَہُمۡ
সুম্মা ইন্না আলাইনা হিসাবাহুম।
তারপর নিশ্চয় তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্বে।
এ আয়াতগুলো থেকে যে শিক্ষা ও নির্দেশনা আমরা পাই:
১. আল্লাহর সৃষ্টি ক্ষমতার অসংখ্য নিদর্শন আমাদের ঘিরে আছে। আমাদের কর্তব্য এই নিদর্শনগুলো দেখে আল্লাহর ক্ষমতা ও বড়ত্ব অনুভব করা।
২. মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আল্লাহর দীন বিশুদ্ধভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরে দীনের দাওয়াত দেওয়া। মানুষকে শক্তি প্রয়োগ করে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা বা হেদায়াত দেওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়। হেদায়াত দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে।
৩. মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হয়ে আমাদের সবাইকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। নিজেদের কাজকর্মের হিসাব দিতে হবে। যারা আল্লাহর ক্ষমা ও রহমত লাভ করবে, তারা হবে সৌভাগ্যবান ও সফল, যাদের জন্য শাস্তির ফয়সালা হবে, তারা হতভাগ্য ও ব্যর্থ।