খুলনা টাইগার্স-রংপুর রাইডার্স ম্যাচ চলছিল তখন। গ্যালারির একাংশ তখনও খালি। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে যেতেই দেখা মেলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সি পরিহিত দর্শকের মিছিল। অপেক্ষা করছিলেন নিজেদের ম্যাচ শুরুর। ভিন্ন দল খেললেও গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা ‘সিলেট-সিলেট’ চিৎকারে মাতিয়ে রেখেছিলেন স্টেডিয়াম।
৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আলিস। ২ উইকেট নেন রস্টন চেজ। ১টি করে উইকেট নেন ম্যাথু ফোর্ড, তানভীর ইসলাম ও খুশদিল শাহ।
এর আগে দুর্দান্ত বোলিংয়ে কুমিল্লাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে সিলেট। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দেন। সামিত প্যাটেল ছিলেন আরও কৃষণ। তিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে তুলে নেন তিন-তিনটি উইকেট।
এ ছাড়া রিচার্ড এনগ্রাভা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। রেজাউর রহমান রাজা সুযোগ পেয়ে ৩ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ দেন ২৪ রান। আর তানজিম হাসান সাকিব ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
সিলেটের দারুণ বোলিংয়ে ব্যাট হাতে কুমিল্লার তিনজন ছাড়া কেউ সুবিধা করতে পারেনি। ইমরুল কায়েস ২৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ৩০ রান। জাকের আলী ২৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৯ রান। আর খুশদীল শাহ ২২ বলে ১ চারে করেন ২১ রান। এর বাইরে মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৪ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্ব শুরুর একদিন আগে থেকেই উৎসবে মেতেছিলেন স্থানীয়রা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বেদনায়। বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে ঘরের মাঠে প্রথম খেলায় হারের হ্যাটট্রিক করলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৩১ রানে আটকে রাখলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার মিছিলে মাঠ ছাড়তে হয় ৫২ রানে হেরে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করে কুমিল্লা। তাড়া করতে নেমে ৭৮ রানে অলআউট হয় সিলেট।
দ্বিতীয় ওভারে আলিস আল ইসলামের ঘূর্ণিতে মোহাম্মদ মিঠুনের (০) আউটে পতনের শুরু। ১ বল পরেই ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১)। মাত্র ২৮ রান যোগ হতে ৫ উইকেট নাই হয়ে যায়। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে খাদের কিনারা থেকে লড়াই করেন জাকির হাসান। কিন্তু হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো লাভ হয়নি। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪১ রান। ৩৪ বলে এই রান করেন তিনি।
শেষ দিকে ১৮ রান করেন রায়ান বার্ল। বার্লের সঙ্গে জাকিরের ৪০ রানের জুটিতে আশা দেখাচ্ছিল, কিন্তু বার্লের আউটে সেই আশা গুড়েবালি হয়ে যায়। জাকির-বার্ল ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেননি।