বাজারে এখন সরু (মিনিকেট) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে। যা ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা ছিল। মাঝারি (বিআর-২৮, পায়জাম) চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। দুই টাকা বেড়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।
রামপুরা বাজারে খুচরা চাল বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম ছিল ৬৬ টাকা, বর্তমানে তা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৬ টাকার পায়জাম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, টিসিবির হিসাবেও সরু চালের দাম এক মাসের ব্যবধানে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আমনের ভরা মৌসুমে মোকাম, পাইকারি বাজার, খুচরা বাজার- সবখানে চালের দাম বেড়েছে। গত ৮-১০ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন পর্যায়ে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত।
চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মালিবাগে কুমিল্লা রাইস এজেন্সির ফরিদ হোসেন বলেন, ভোটের কারণে গাড়ি কম এসেছে। তাই সরবরাহ ঘাটতির কারণে চালের দাম বেড়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, মানভেদে প্রতি বস্তা চালের দাম দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
মোকামমালিক, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ মৌসুমে পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। কোথাও চালের কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে আমন ধানের মজুত গড়ে তোলা হয়েছে। মজুতের কারণে বাজারে চালের দাম বাড়ছে।