ডেভ হোয়াটমোর বলেছিলেন, ‘ক্রেজি’। কিন্তু সতীর্থরা মিলে দুষ্টুমি করে কোচকে শিখিয়ে দেন, ক্রেজি নয় পাগলা। সেই থেকে ডেভ হোয়াটমোরের কাছে মাশরাফি বিন মুর্তজা হয়ে উঠলেন পাগলা। ব্যাস, এরপর থেকে মাশরাফিকে কখনো ম্যাশ না নাম ধরে ডাকেননি হোয়াটমোর। তার মুখে লেগে আছে পাগলা-ই। লম্বা সময় পর দুজনের মিরপুরে দেখা হলো।
২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন হোয়াটমোর। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্থানের পেছনে তার ভূমিকা ছিল বেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে লড়াই করতে পারে, ম্যাচ জিততে পারে, যেকোনো দলকে চমকে দিতে পারে সেই বিশ্বাস হোয়াটমোর ছড়িয়ে দিয়েছেন পুরো দলে। দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার মেলামেশাও ছিল বন্ধুর মতো। হোয়াটমোরের সঙ্গে মাশরাফির সম্পর্ক বহু পুরোনো। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে হোয়াটমোরকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন। দুজনের সম্পর্ক এতটাই গাঢ় ছিল, ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে মাশরাফির বিয়ের দাওয়াত খেতে নড়াইল পর্যন্ত গিয়েছিলেন হোয়াটমোর। এমন কাছের একজনকে কাছে পেয়ে দুজনের গল্প জমে উঠবে তাই স্বাভাবিক। মিরপুরে তারা হয়তো সেই সোনালী দিনগুলোকেই ফিরিয়ে এনেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। এরপর দুজনেই ব্যাক টু ওয়ার্ক।
বিপিএল তাদের ফেরার মঞ্চ মিলিয়ে দিয়েছে। ফরচুন বরিশালের টিম ডিরেক্টর হয়ে এসেছেন হোয়াটমোর। মাশরাফি বিন মুর্তজা সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক। দুই দলের মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলন ছিল প্রায় একই সময়ে। সেখানেই দেখা হয় গুরু-শিষ্যর।
হোয়াটমোর আগেই মাঠে ছিলেন। মাশরাফি তাকে দেখে এগিয়ে যান। ক্যাপ দিয়ে মুখ লুকিয়ে দুষ্টুমি করতে করতে ধরা দেন কোচের সামনে। হোয়াটমোর তাকে চিনতে পেরে ঠিকই মুখে চওড়া হাসি দেন। এরপর কোচকে জড়িয়ে ধরেন মাশরাফি। দুজনের মুখে সেই চিরাচরিত হাসি। লম্বা সময় পর দেখার পর চলে দুজনের কুশলাদি।