ভারতীয় অভিনেতা ব্রাত্য বসু। নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের গুণী অভিনেতা মোশাররফ করিমকে নিয়ে ‘ডিকশনারি’ সিনেমা নির্মাণ করেন তিনি। এটি ছিল এ জুটির প্রথম কাজ।কয়েক বছরের বিরতি নিয়ে মোশাররফ করিমকে নিয়ে ব্রাত্য বসু নির্মাণ করেছেন ‘হুব্বা’ শিরোনামে সিনেমা। ১৯ জানুয়ারি একসঙ্গে দুই বাংলায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। মজার ব্যাপার হলো, আজ দেশে তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রেক্ষাগৃহ পেয়েছে ‘হুব্বা’।‘হুব্বা’ সিনেমার কাহিনিপট বর্ণনা করে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে পরিচালক ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘থ্রিলার-কমেডির মিশেলে তৈরি করা হয়েছে এই সিনেমা। হুব্বা শ্যামল ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ নামে পরিচিত ছিলেন। খুন, জখম, ড্রাগ পাচার ইত্যাদি বহু অপরাধে অপরাধী। অজস্র পুলিশ কেস ছিল তার নামে। এক সময় তিনি ভোটে দাঁড়াতেও চেয়েছিলেন। যতবারই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, ততবারই জামিনে বেরিয়ে যান। ২০১১ সালে বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এই সিনেমার মাধ্যমে আমি পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অপরাধ জগতের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।’’ ‘হুব্বা’ সিনেমা বাংলাদেশে আমদানি করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। এ প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৩টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখা, লায়ন সিনেমাস (পুরান ঢাকা), সিলভার স্ক্রিন (চট্টগ্রাম), মধুবন (বগুড়া), সিনেস্কোপ (নারায়ণগঞ্জ), মধুমিতা (ঢাকা) অন্যতম।জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘‘হুব্বা’ সিনেমায় হুব্বা মানে মোশাররফ করিম একজন গ্যাংস্টার থাকেন। সিনেমাটিতে হুব্বার জীবনের উত্থান-পতন ও অন্ধকার দিক খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু। এর ট্রেইলার অনলাইনে দেখে আমাদের মনে হলো, মোশাররফ করিমের এমন একটি সিনেমা বাংলাদেশের দর্শকের দেখার সুযোগ থাকা উচিত। সে আলোকে জাজ ‘হুব্বা’ বাংলাদেশে পরিবেশনার দায়িত্ব নিয়েছে।’’