বিপদের মুহূর্তে ফিফটি হাঁকানো আকবর আলী দলের জয়সূচক রান নিতে পারেননি। প্রতিপক্ষের বোলার ওয়াইড দিয়ে বসেন। জয় নিশ্চিত হয়ে যায় দলের। সঙ্গে মধুর প্রতিশোধ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণের ফাইনালে ইস্ট জোনকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নর্থ জোন। দ্বিতীয়বারের মতো বিসিএল ওয়ানডেতে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলো তারা।
লাল বলে হয়েছে ঠিক উল্টোটা। নর্থকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্ট। দিবারাত্রির এই ফাইনালে ওয়াইড হতেই ডাগআউট থেকে দৌড়ে এসে উদযাপনে মেতে ওঠেন নর্থের ক্রিকেটাররা।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৭৫ রান করে ইস্ট। তাড়া করতে নেমে শাহাদাত হোসেন দিপুর সেঞ্চুরিকে ম্লান করে ৩৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে নর্থ।
আকবর আলী ৫৩ ও নাহিদুল ইসলাম ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। সর্বোচ্চ ৭৬ রান আসে প্রীতম কুমারের ব্যাট থেকে। ১৭৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে প্রীতম-আকবর দলের হাল ধরেন। দুজনে ৮০ রানের জুটিতে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন।
৮৬ বলে ৭৬ রানে প্রীতম ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ততক্ষণে জয়ের কাছে চলে যায় নর্থ। তানজীদ হাসান তামিম-হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাটে নর্থের শুরুটা ভালো হলেও তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তানজীদ ৪৪ রান করেন। ২৪ রান আসে তাইবুর রহমানের ব্যাট থেকে। ইস্টের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা ও নাঈম হাসান।
এর আগে, নাহিদ রানার তোপে ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে ইস্ট জোনকে চেপে ধরছিল নর্থ জোন। তবে পারভেজ হোসেন ইমন-দিপুর জুটিতে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে ইস্ট জোন। দুজনে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ১২২ রান যোগ করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
ফিফটির পর সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকা ইমন ৭৩ রানে ফিরলেও দিপু মাঠ ছাড়েন অপরাজিত সেঞ্চুরিতে। ১১৭ বলে লিস্ট এ ক্রিকেটে চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পান দিপু। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ১২২ বলে ১১৩ রান করে। ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় দিপুর ইনিংসটি সাজানো ছিল। তার সঙ্গে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম হাসান।
১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন রানা। লিস্ট-এ ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৪৯ রানে ২ উইকেট। এ ছাড়া ১টি উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম।