অস্থিতিশীল মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সাথে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তুমুল লড়াই চলছে। সংঘাত থেকে বাঁচতে শত শত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় পালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীর নির্বিচার গোলাবর্ষণে অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। এর মাঝেই দেশটির শান রাজ্যের একটি শহরে জান্তা সৈন্যরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। সৈন্যদের হাত থেকে পালিয়ে আসা বাসিন্দারা বলেন, সেখানকার বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার জন্য মুসলিমদের বাধ্য করছে জান্তা বাহিনী। একই সঙ্গে বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ছবি ও ভিডিও ধারণ করছে সৈন্যরা।
থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, কাচিন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং তাদের মিত্র প্রতিরোধ বাহিনী পিছু হটার পর মিয়ানমার জান্তার সৈন্যরা উত্তর শান রাজ্যের মোমেইক শহরের দখল ফিরে পেয়েছে। জান্তা সৈন্যরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে আট বাসিন্দাকে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে সেখানকার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোমেইকের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘জান্তা সৈন্যরা এখন শহরে অবস্থান করছে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তারা আড়ালে থাকা বাসিন্দাদের গ্রেপ্তার করেছে। রোববার নিজেদের বাড়িঘর দেখতে গিয়ে অন্তত পাঁচজন বাসিন্দা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গৃহপালিত প্রাণীকে যারা খাবার দেওয়ার জন্য গ্রামে গিয়েছিল তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’
শহরের বাস্তুচ্যুত লোকজনকে সহায়তা করা স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবকের মতে, জান্তা সৈন্যরা মোমেইকে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে মুসলিম বন্দীদের বাধ্য করছে। এর মাধ্যমে জান্তা বাহিনী শহরে বিভাজনের বীজ বপন করতে চাইছে।