গুরুতর নিরাপত্তা হুমকির জেরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাদের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে সামরিক বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, এসব হামলার জন্য আফগান তালেবানদের পাকিস্তান শাখা তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এককভাবে দায়ী এবং কাবুলের তালেবান সরকার বিভিন্নভাবে তাদের মদত দিচ্ছে।
এর আগে ২০১৪ সালে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি স্কুলে অভিযান চালিয়ে ১৫০ জনকে হত্যা করেছিল টিটিপি। এই নিহতদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর-কিশোরী। সামরিক বাহিনী স্কুলটি পরিচালনা করত।
ইসলামাদের এক পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইসলামাবাদের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটি ফোনকল এসেছিল। সেই ফোনকলে কেউ একজন হুমকি দিয়ে বলেছিল— রাজধানীর ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি, বাহরিয়া ইউনিভার্সিটি এবং এয়ার ইউনিভার্সিটি— এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনোটিতে যে কোনো সময়ে আত্মঘাতী হামলা হতে পারে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথাক্রমে পাকিস্তানের স্থল বাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এএফপিকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই ফোনকলের পর আজ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি বন্ধ করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার দীর্ঘ ঐতিহ্য হয়েছে। তবে এসব হামলার মাত্রা ব্যাপকভাবে বেড়েছে ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রতিবেশী আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন হয়েছে কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠী তালেবান।
পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিভিন্ন জঙ্গি ও আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। নিহতদের মধ্যে সামরিক, বেসামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।