হজের নিবন্ধনে আরও আটদিন সময় দিয়েছে সরকার। দুই দফা সময় বাড়ানোর পর গত ১৮ জানুয়ারি শেষ হয় হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম। কিন্তু হজ এজেন্সিগুলো নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই প্রেক্ষাপটে নিবন্ধনের জন্য আরও আটদিন সময় দিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং এক লাখ ১৭ হাজার জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে পারবেন।
কিন্তু, এখন পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার ১৭৩ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৮০২ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ হাজার ৩৭১ জন।
সে অনুযায়ী কোটার ৪২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনও ৭৪ হাজার ২৫ জন নিবন্ধন করেননি। অর্থাৎ কোটার ৫৮ শতাংশ খালি রয়েছে।
সৌদি সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার কারণে এবার বিভিন্ন দেশ থেকে কতজন হজে যাবে তা আগেভাগে জানাতে হবে। অন্য বছর হজচুক্তির পর নিবন্ধন শুরু হলেও এবার সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী চুক্তির আগেই নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করতে হয়।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথম নিবন্ধনের সময় সময় ছিল ১০ ডিসেম্বর। পরে নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। হজযাত্রীদের সাড়া না পাওয়ায় সর্বশেষ নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়।
২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ ২৪ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হতে হজ চুক্তির আগেই হজযাত্রীর চূড়ান্ত সংখ্যা জানানোর বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও হজযাত্রী ও হজ এজেন্সির বিশেষ অনুরোধে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এ সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন বা প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে।
প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে প্যাকেজের অবশিষ্ট মূল্য আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় এ বছর হজে যাওয়া যাবে না এবং প্রদত্ত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।