স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন ফুলকপি রোস্ট। আবার ভাত, পোলাও কিংবা লুচির সঙ্গেও খাওয়া যায় এই রেসিপি। পরিবেশনের ওপর নির্ভর করে রেসিপিটি দেখতে কতটা কালারফুল হবে। জেনে নিন রেসিপি আর পরিবেশনের উপায়।
প্রনালি: ফুলকপি টুকরা করে কেটে নিয়ে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। ফুলকপির টুকরার সঙ্গে কাজু-পোস্ত বাটা, ফেটানো টকদই, জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, সরিষার তেল মেশান। এরপর ভালো করে মেখে আধা ঘন্টার জন্য ঢেকে রাখুন।
এরপর একটি কড়াইয়ে তেল ও ঘি একসঙ্গে গরম করে আস্ত গরম মসলা, শুকনো মরিচ ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে দিন। এরপর আদা ও মরিচ বাটা দিয়ে দিন। কষানো হয়ে গেলে তাতে ম্যারিনেট করা ফুলকপি দিয়ে দিন। এবার ভালোভাবে কিছু সময় নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট দমে রাখার পর মিনিটের জন্য। ফুলকপি থেকে পানি বেরিয়ে আধা সেদ্ধ হয়ে যাবে।
উপকরণ: ফুলকপি একটি, আদা এক ইঞ্চি পরিমাণ, কাঁচা মরিচ- তিনটি, টক দই দুই টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ছয়টি, পোস্ত দেড় টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া এক চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া এক চা চামচ, শুকনা মরিচ একটি, এলাচ দুইটি, লবঙ্গ দুইটি, দারুচিনি একটি, তেজপাতা একটি, গরম মসলার গুঁড়া আধা চা চামচ, ঘি দুই চা চামচ, সরিষার তেল এক চা চামচ, সয়াবিন তেল দুই টেবিল চামচ, চিনি দুই চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
খেয়াল রাখুন: কাজুবাদাম ও পোস্ত একঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বাটতে হবে। আদা ও কাঁচা মরিচ একসঙ্গে বাটতে হবে। পরিবেশনের জন্য লাগবে তিনটি পাকা টমেটো (ফালি করে কাটা) আর কয়েকটি পেঁয়াজ পাতা (টুকরা করে কাটা)।
কড়াইতে তেল ছাড়তে শুরু করলে তাতে অল্প গরম পানি ঢেলে দিয়ে ফুটতে দিন। ফুলকপি পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে চিনি ও গরম মসলা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে আরো ১-২ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন।
সাদা রঙের প্লেটে কিংবা বাটিতে পরিবেশন করলে ফুলকপির রঙটা দারুণ দেখাবে। এর ওপর ফালি করে কাটা টমেটোর টুকরাগুলো ছড়িয়ে দিন। আরও সৌন্দর্য বাড়াবে টুকরা করে কাটা পেঁয়াজের পাতা।