শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ম্যাচের নাটাই দ্রুতই নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের চাকা গতিশীল করেন টিম সেইফার্ট। তবে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকা কিউইদের স্কোরবোর্ডের লাগাম টেনে ধরেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
এই লেগ স্পিনার ৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ১০ রান দেন। সেইফার্টের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান উঠলেও রিশাদের কৃপণ বোলিংয়ে রানের চাকা থেমে যায়। বৃষ্টিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর রিশাদের প্রশংসা ঝরছে সেইফার্টের মুখে।
সেইফার্ট বলেন, ‘আমার মনে হয়, সে বেশ ভালো বোলিং করেছে। সে বাতাসের গতির দিকে বোলিং করছিল, বাতাস বেশ জোরেই ছিল। সোজা মারা কঠিন ছিল। বাউন্ডারির আকারও এখানে ভালোই বড়। সে ভালো করেছে। ছেলেরা তাকে ভালোই খেলেছে। তবে তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে ভালো বোলিংয়ের জন্য।’
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। একই মাঠে বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। এই ম্যাচ জিততে পারলে যে কোনো সংস্করণে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৭২ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। এরপর নামে তুমুল বৃষ্টি। ম্যাচে মাত্র ২৩ বলে ৪৩ রান করেন সেইফার্ট। ডেরিল মিচেল ১৮ ও গ্লেন ফিলিপস ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
‘টসে যে-ই জিতুক না কেন, বোলিংই নিতো আবহাওয়ার কারণে। তবে ব্যাটিংয়ের সময় বৃষ্টির কথা এত ভাবলে চলে না। ১১ ওভারে ভালোই করেছি। ভালো শুরু পেয়েছি। একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। বৃষ্টি জোরে হচ্ছিল। এর মধ্যে কীভাবে খেলবেন, সেটি কঠিন হয়ে ওঠে মাঝেমধ্যে। তবে ছেলেরা ভালো করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পুরো ম্যাচটি হলো না’-বলছিলেন সেইফার্ট।