নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি দখল, হত্যাচেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নামে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটি তদন্তে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ব্যাপারে দোষীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তাফা রাসেল বলেন, এ ঘটনায় দুটি মামলার একটি গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্ত করতে বলা হয়েছে এবং অপরটি রূপগঞ্জ থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা আদালতের আদেশের কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আদালতের আদেশ মেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো ছাড় নেই। বিবাদীদের বিরুদ্ধে অতীত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা মামলা নিচ্ছি।
এর আগে গত রবিবার (১৯ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দুটির আবেদন করেন ভুক্তভোগী আলী আজগর ভূঁইয়া ও মো. মামুন। মামলায় রফিকসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করেন মামুন, আর আলী আজগরের মামলায় ৩১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার আলমের আদালত শুনানি শেষে মামুনের অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং আলী আজগর ভূঁইয়ার আবেদনটি গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে মো. মামুন জানান, গত ১৭ অক্টোবর আসামিরা তাদের পাঁচ ভাইয়ের মালিকানাধীন ৯৫ শতাংশ জমি রফিক ও মিজানুরের নামে রেজিস্ট্রি লিখে দিতে হুমকি দেন। অন্যথায় তাদের গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। পরে ১৯ অক্টোবর সকালে আসামিরাসহ আরও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হুমকি-ধমকি দেন।
সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর আসামিরা বাড়িতে এসে হামলা-ভাঙচুর করেন এবং গাভীসহ ঘরের প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যান। এসময় আসামিরা বসতঘর ও গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। পুনরায় তারা জমি রেজিস্ট্রি করে লিখে দিতে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।
অপর মামলার বাদী আজগর আলী ভূঁইয়া জানান, গত ১৮ নভেম্বর আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তার বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান এবং আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। এসময় আসামিরা দ্রুত জমি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে লিখে দিতে হুমকি দেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার আলমের আদালত শুনানি শেষে মামুনের অভিযোগটি রূপগঞ্জ থানায় এফআইআর করার নির্দেশ এবং আলী আজগর ভূঁইয়ার আবেদনটি ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।