গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীত ও ঘণ কুয়াশার কারণে জামালপুরের মেলান্দহে বোরো বীজ তলায় কোল্ড ইনজুরি রোগ দেখা দিয়েছে। এর ফলে, বীজতলার সবুজ চারা হলুদ ও পরে তামাটে বর্ণ ধারণ করেছে। পাশাপাশি চারাগুলোর আকারও বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এ কারণে কৃষকরা ক্ষতির শঙ্কা করছেন। তবে, কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।১৫ জানুয়ারি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বোরো বীজতলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯১০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। বীজতলা রক্ষার্থে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি, এই বীজতলা দিয়েই চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
চারবানী পাকুরিয়া ইউনিয়নের কৃষক মুস্তাফিজ বলেন, গত কয়েক দিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ধানের চারার পাতা মরে যাচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্যই এমন হচ্ছে। ঠান্ডা অব্যাহত থাকলে বীজতলা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
শ্যামপুর এলাকার কৃষক সোনাহার আলী জানান, তিনি ১২ বিঘা জমিতে ধান চাষের জন্য বীজতলা প্রস্তুত করেছিলেন। কয়েক দিনের তীব্র শতে বীজতলার অনেকাংশ নষ্টের পথে। বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি রোগ। চারাগুলো হলদে হয়ে গেছে। ওষুধ ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।