বিভিন্ন কারণে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এটি সবচেয়ে বড় অপুষ্টিজনিত একটি সমস্যা। শুধু অপুষ্টি নয় আয়রনের অভাব কিংবা থালাসেমিয়ার মতো রোগ এর কারণ হতে পারে।
এ ছাড়াও শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষত থেকে হওয়া রক্তক্ষরণের ফলেও শরীরে দেখা দিতে পারে রক্তশূন্যতা। পরিবারের কেউ রক্তশূন্যতায় ভুগলে অন্যান্যদেরও হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রতি লিটার রক্তে ১৩৫ গ্রাম। আর নারীদের ১২০ গ্রামের কম হলেই তাকে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ বলা হয়।
তবে সব সময় তো রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এ কারণে দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতায় ভুগলেও অনেকেই টের পান না। অজান্তেই এ সমস্যা থেকে যায় শরীরে।
তবে এক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরে। চলুন তবে জেনে নেওয়া কোন কোন লক্ষণ দেখেই বুঝতে পারবেন আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন-
১. রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহণ করে। ফলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রোগী সব কাজে হাঁপিয়ে বা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
২. রক্তাল্পতার প্রভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যেতে শুরু করে। অনেকেই ভাবেন, ত্বক হয়তো উজ্জ্বল হচ্ছে! এ ছাড়াও রক্ত শূন্যতার কারণে চোখের ভেতরের মাংস পেশিগুলোও লাল রং হারিয়ে ফেলে।
৩. শরীরের আয়রন কমে গেলেই দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। এর প্রভাবে চুলও পড়ে যেতে পারে। কাজেই অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও রক্ত স্বল্পতার লক্ষণ হতে পারে।
৪. রক্তশূন্যতার রোগীরা অল্পেই ক্লান্তি ও বিষণ্নতায় ভোগেন। যা ডেকে আনতে পারে মাথাব্যথাও। কিছু ক্ষেত্রে রোগী মানসিক অবসাদের শিকার হতে পারেন।
৫. হাত-পা ঠান্ডা হয়ে থাকাও কিন্তু রক্তশূন্যতার ইঙ্গিত দেয়। তাই এসব লক্ষণ দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর সময়মতো চিকিৎসা না করালে ঘটতে পারে নানা বিপদ।
প্রতিরোধে করণীয়-
অনেক ধরনের রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করা যায় না। তবে আপনি যদি আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া ও ভিটামিন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ায় ভোগেন, তাহলে ডায়েট পরিবর্তনের মাধ্যমে তা সারাতে পারবেন।
এজন্য আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন বি ১২ ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।
সূত্র: মায়োক্লিনিক