বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি থাকাকালেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। যদিও দুটি পদে থাকা নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই তার সামনে। তবুও পাপনের ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছাড়া নিয়ে নির্বাচনের পর থেকেই জোর আলোচনা চলছে। তার উত্তরসূরি কে হবেন— সেই হিসেব-নিকেশও কষছেন অনেকে! পাপনও তার চলতি মেয়াদ পূর্ণ করেই দায়িত্ব ছাড়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন, এবার নতুন করে তিনি বলছেন— দ্রুত বিসিবি ছাড়তে চান।
ক্রীড়ামন্ত্রী পাপন বলেন, ‘আমার ইচ্ছে হলো এখান (বিসিবি) থেকে বের হব, যতো দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসতে চাই। তবে এমন কিছু করব না যেটির কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হয়। এখন এটি ছেড়ে দেওয়া ভালো। তবে এই পদে থাকতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
নতুন করে আর বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পরিকল্পনা আগেও ছিল না বলে জানিয়েছেন পাপন, ‘দুই টার্ম সভাপতি হওয়ার পর আমি এবার কিন্তু সভাপতি হতে চাচ্ছিলাম না। এবারই যেহেতু চাইনি, পরে আবার হব এবং কন্টিনিউ করার প্রশ্নই ওঠে না। আমি চাইনি, তারপরও হতে হয়েছে বা হয়েছি।’
নতুন করে ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় ক্রীড়াঙ্গনের সব ইভেন্টই দেখতে হবে পাপনকে। যার কারণে বিসিবির দায়িত্ব সামলানো কঠিন বলে মনে করেন তিনি, ‘এখন আরও বড় দায়িত্ব পেয়েছি। সব খেলাই এখন আমাকে সমান চোখে দেখতে হবে এবং মনোযোগী হতে হবে। সেজন্য বিসিবির সভাপতি হিসেবে সেখানে যে সময় দিতে হবে সে সময় দিতে পারব না। তাই আমার সরে আসাই উচিৎ।’
নতুন সভাপতি কে হবেন এ নিয়ে পাপন বলেন, ‘এখানে তো একটি প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে একটি হলো আমাদের যে মেয়াদ, সেটি সামনের বছর শেষ হবে। এই মেয়াদের পর আমি যদি না দাঁড়াই তাহলে তো শেষ। নতুন যারা আসবে তারা তাদের মতো বোর্ড ও সভাপতি বানাবে। এটি খুবই সহজ প্রক্রিয়া। প্রথমে কাউকে কাউন্সিলর হতে হবে, তারপর তাকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। নির্বাচিতদের মধ্যে থেকেই বোর্ডে যারা থাকবেন তার নির্ধারণ করবেন কে সভাপতি হবে। এখানে সরকারের বা বাইরের কারও প্রভাব থাকবে না।’