ভিটামিন সি এবং ডি ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। যখন শরীরে কোনো এক ধরনের ভিটামিন বা খনিজের অভাব দেখা দেয়, তখন শরীর নানা ইঙ্গিত দিতে শুরু করে। শুধুমাত্র এই বিষয়ে সঠিক সচেতনতার মাধ্যমেই সমস্যাগুলি নির্ধারণ করা সম্ভব। ভিটামিন এ শরীরের এমন এক অপরিহার্য পুষ্টি যা সুস্থ দৃষ্টি বজায় রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং আরও অনেক কিছুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শরীরে ভিামিনন এ’এর ঘাটতি হলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: ভিটামিন এ সুস্থ ইমিউন সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ-এর অভাব হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। এর ফলে শরীর সংক্রমণের জন্য আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
রাতকানা: ভিটামিন এ-এর অভাবের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হলো কম আলোতে বা রাতে দেখতে অসুবিধা হওয়া। এই অবস্থা রাতকানা রোগ নামে পরিচিত।
চোখ–সম্পর্কিত সমস্যা: রাতকানা ছাড়াও, ভিটামিন এ-এর গুরুতর ঘাটতি হলে চোখের সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে। এর মধ্যে চোখের শুষ্কতা এবং প্রদাহ , কর্নিয়ার আলসার, এমনকি অন্ধত্বও হতে পারে।
শুষ্ক বা রুক্ষ ত্বক: ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হতে পারে।
দুর্বল ক্ষত নিরাময়: ভিটামিন এ ক্ষত এবং আঘাত নিরাময় প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করে। শরীরে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি হলে যেকোন কাটা, ঘা কিংবা ক্ষত সারতে সময় লাগে।
শরীরে উল্লেখিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসও প্রয়োজন। চর্বিযুক্ত মাছ, দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, সাইট্রাস ফল, সবুজ শাক-সবজি ইত্যাদি ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস। উদ্ভিদভিত্তিক এবং প্রাণিজভিত্তিক খাবারের সঠিক মিশ্রণ শরীরে ভিটামিন এ-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং চোখের বিকাশের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি ত্বকের সংক্রমণও রোধ করে।