টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনার ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এফোর্ডিবিলিটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে আমরা বিদ্যুৎকে এফোর্ডেবল করতে পারে, কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি, কীভাবে বিদ্যুৎকে আমরা রিলায়েবল রাখতে পারি—এই তিনটি জিনিসকে মাথায় রেখে আমরা আবার একটা রিভিউ মাস্টারপ্ল্যান করেছি, যেখানে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। মহাপরিকল্পনা নিয়েছি গ্যাস ক্ষেত্রে। গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়ানোর জন্য আমরা ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে পাঁচটি গ্যাসফিল্ড বিশেষ করে ভোলায়, শাহাজাদপুর, ইলিশায় নতুনভাবে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। সেখানকার গ্যাস বরিশাল পর্যন্ত নিয়ে কীভাবে পটুয়াখালীসহ যশোরে সংযোগ দেবো, যশোরের সাথে রংপুরের গ্যাস পাইপলাইনের সাথে কীভাবে আমরা সংযোগ করবো তারও ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রতিটি ঘর ২০২১ সালের মধ্যে আমরা আলোকিত করেছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। সোলারে হোক বা গ্রিড কানেক্টিভিটিতে হোক— সেই জায়গায় আমরা পৌঁছে গেছি। বিদ্যুতের সঙ্গে আরেকটি বড় উদাহরণ দিতে চাই। বিশেষ করে সোলার হোম সিস্টেমে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চ্যাম্পিয়ন। প্রায় ৫০-৫২ লাখ ঘরে আমাদের সোলার বাতি কাজ করছে।