এবার জেলায় হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাত মিলিয়ে গত বছরের চেয়ে ৫৩০ হেক্টর বেশি জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কৃষক-দিনমজুরের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। রাতেও অনেকে সেচের মেশিন পাহারা দেওয়ার জন্য মাঠের পাশেই কুঁড়েঘর বানিয়ে অবস্থান করছেন।
জেলার ১০ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কোথাও চারা রোপণ করা হচ্ছে, কোথাও আবার কৃষক ক্ষেতে সার-কীটনাশক দিচ্ছেন, কোথাও আবার মাঠের মধ্যে চলছে সেচের শ্যালো মেশিন।
কৃষকরা জানান, শুরুর দিকে শীতের কিছুটা বৈরিতা থাকলেও তা কাটিয়ে তারা পুরোদমে বোরো রোপণ প্রায় শেষ করে এনেছেন। সরকারিভাবেও কিছু কৃষক সার, বীজ সহায়তা পেয়েছেন। ফলে আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তাহলে ভালো ফলন আশা করছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার জেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখান থেকে ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন বেশি ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, এই জেলায় ধান উদ্বৃত্ত হয়। জেলার হাওর, সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলে বোরো চাষ হয়।