পাঁচ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পুনর্নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এই মাঠে ফুটবল হচ্ছে না। তবে দীর্ঘদিনের আড়মোড়া ভেঙে আবারও উৎসবের জন্য প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম।
শুক্রবার অ্যাথলেটিকসের মধ্য দিয়ে খুলছে এই স্টেডিয়াম। ৪৭তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা সামনে রেখে ব্যস্ততা অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কর্তাদের। নতুন ট্র্যাকে দৌড়ানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন অ্যাথলেটরা।
শুধু নতুন ট্র্যাকই নয়, এবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দেখা যাবে প্রযুক্তির ছোঁয়া। হ্যান্ড টাইমিংকে ‘টাটা’ দিয়ে আনা হয়েছে নতুন ফটোফিনিশ মেশিন। এই মেশিনটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমদানি করেছে বেলজিয়াম থেকে। এই মেশিনের মূল্য কোটি টাকার বেশি।
স্প্রিন্টে অনেক সময় কয়েকজন অ্যাথলেট প্রায় একসঙ্গে ফিনিশিং লাইন টাচ করেন। সাদা চোখে সঠিক ফলাফল প্রদান করা সম্ভব হয় না। ফটোফিনিশ মেশিনের মাধ্যমে এটি থাকবে বিতর্কমুক্ত। মাসখানের আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এটা বুঝে পেয়েছেন বলে গতকাল সমকালকে জানান অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব।
তিনি বলেন, ‘নতুন টার্ফ আর ফটোফিনিশ মেশিন– সবকিছু মিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে। দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হবে, সেটা অ্যাথলেটিকস দিয়ে হবে বলে আনন্দ বেশি আমাদের।’
দীর্ঘ তিন বছর পর বঙ্গবন্ধুতে জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা বসতে যাচ্ছে। ৫শর মতো ক্রীড়াবিদের মিলনমেলা হবে এ প্রতিযোগিতায়। অতীতে যেসব জেলা অংশ নেয়নি, তারাও এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বলে জানান আব্দুর রকিব।