সারাদেশেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠান্ডার কারণে অনেকেই পানি কম খাচ্ছেন। এর প্রভাব পড়ছে ত্বকের উপরে। শুষ্ক ত্বক আরও খসখসে হচ্ছে। তৈলাক্ত ত্বকেও এর প্রভাব পড়ছে। শুধু পানি খেয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
চিয়া বীজ: ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড-এ ভরপুর চিয়া বীজ ত্বকের স্বাভাবিক তেল বা সেবামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এই বীজে পানির পরিমাণ অন্যান্য বীজের তুলনায় বেশি। তাই পর্যাপ্ত পানি খেতে না পারলে এই বীজ খেতে পারেন।
ডাবের পানি: ডাবের পানিতে শরীরের জন্য উপকারী নানা ধরনের খনিজ রয়েছে। এসব খনিজ শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডাবের পানিতে থাকা সাইটোকাইন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের আর্দ্রতা এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
টক দই: প্রোবায়েটিক খাবার হিসাবে পরিচিত টক দই পেটের জন্য ভালো। অন্ত্র ভালো থাকলে যেমন বিপাকহার ভালো হয়, তেমনি ত্বকেরও উন্নতি হয়। দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র এবং উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।
কাঠবাদাম : ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঠবাদাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে যে ধরনের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়, তা থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই বাদাম। নিয়মিত ৫ থেকে ৭টি কাঠবাদাম খেলে ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজ়ারের পরত সুরক্ষিত থাকে।
টমেটো: টমেটোতে লাইকোপেন নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। পরিবেশে নানা ধরনের দূষণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে টমেটো। তা ছাড়া এই সবজিতে ভিটামিন সি এবং পানির পরিমাণও বেশি। যা ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।