বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটির গত নয় আসরে চারটি ট্রফি জিতেছে তারা। এই চারটি ট্রফির মধ্যে তিনটি ট্রফি এসেছে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে।
দশম আসরে এসে কুমিল্লার লাকি ক্যাপ্টেন বদলে গেছে। নেতৃত্বের ভার এখন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাসের কাঁধে। কুমিল্লার ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং লিটনের নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করে তিন-তিনটি ট্রফি জয়ের অধিনায়ক ইমরুল নিজেকে এখন মুক্ত পাখি হিসেবে দেখছেন।
তবে যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিটনকে সাহায্য করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইমরুল, ‘অধিনায়ক থাকলে অনেক কিছু মেটার করে। দলে ভূমিকাটা আমার আলাদা থাকে। একেকদিন একেক রকম ভূমিকা পালন করতে হয়। এখনও আমি চেষ্টা করবো একইভাবে।’
অন্তর্বতীকালীন অধিনায়ক হিসেবে লিটন বাংলাদেশ জাতীয় দলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের আগে ছিলেন অধিনায়কও। এ সব টেনে লিটনকে অধিনায়ক হিসেবে সব দিক থেকে নিখুঁত মনে হচ্ছে ইমরুলের কাছে। পাশাপাশি কুমিল্লা যে ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে লিটনকে অধিনায়ক করায় সাধুবাদও জানান তিনি।
‘লিটন দাস তো সবসময় টপ প্লেয়ার। আপনি দেখছেন ও সম্প্রতি বাংলাদেশের হয়ে যে সিরিজগুলোতে অধিনায়কত্ব করেছে। লিটন ওর কাজগুলো খুব ভালোভাবে সামলেছে। সফলভাবে সামলাচ্ছে। আমার মনে হয় লিটনের মাথা এবং সবকিছু ভালো; ও খুব ভালোভাবে সামলাতে পারে।’
‘আমার মনে হয় কুমিল্লা সঠিক একটা পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে। আগামী পাঁচ-ছয় বছর কাকে দিয়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে, তারা ওই পরিকল্পনাতে আগাচ্ছে। আমার মনে হয় এই সংস্কৃতিটা ভালো’ -আরও যোগ করেন তিনি।
জাতীয় দলের জার্সিতে ইমরুল সবশেষ খেলেছেন ২০১৯ সালে, ভারতের বিপক্ষে গোলাপি বলের টেস্টে। এরপর আর কোনো সংস্করণে এই বাঁহাতি ব্যাটারকে দেখা যায়নি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটসহ বিপিএলে ছিলেন পরিচিত মুখ হিসেবে। মাঝে ইংল্যান্ডে মাইনর লিগ ক্রিকেট খেলে এসেছেন। প্রায় চার বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও তিনি এখনো স্বপ্ন দেখেন লাল-সবুজের জার্সি পরে মাঠে নামার।
‘স্বপ্নতো যতদিন খেলি ততদিন দেখি। জাতীয় দল একটা আলাদা জায়গা। এখানে খেলাটা অনেক বড় সম্মানের আমি মনে করি। যতদিন খেলবো চেষ্টা করবো ওটা মাথায় রেখে খেলার। যদি ওটা মাথায় না থাকে, ওই খেলাটার মানে হয় না। আমার মনে হয় সবারই ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকে জাতীয় দল।’