চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনার চরে কৃষকের মাঠে দুলছে নানা ধরনের শাকসবজি। এসব সবজির পাশাপাশি নতুন করে চাষ করা হয়েছে স্কোয়াশ। অতি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই স্কোয়াশ আবাদে লাভবান হচ্ছেন এ জেলার কৃষকরা।
স্কোয়াশ একটি শীতকালীন সবজি। দেখতে মিষ্টি কুমড়ার মতো হলেও এটি লম্বা হয়। অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ ও মুখরোচক এ স্কোয়াশ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে বাজারে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। এটি চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি বেশ উপযুক্ত। এসব মাটিতে অধিক ফলন উৎপাদন করা সম্ভব। শীতকালীন এই আবাদ থেকে ভালো ফলন পেতে জমি গভীরভাবে চাষ করার পর মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী চাষ করা হলে ১০০ দিনের মধ্যে প্রতি হেক্টরে ৩৫-৪০ টন উৎপাদন করা সম্ভব।
কৃষিবিদ মজিবুর রহমান বলেন, স্কোয়াশের উচ্চ ফলনশীল কয়েকটি জাত রয়েছে। এর মধ্যে বারি স্কোয়াস-১ জাতটি খুবই ভালো। কৃষকরা এই স্কোয়াশ চাষে বেশ লাভবান হতে পারবে।
মতলব উত্তর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, মতলব উত্তর উপজেলা মেঘনা নদীর চরে কৃষক হান্নান সরকার স্কোয়াশ চাষ করেছে। আমরা কৃষি দপ্তর থেকে সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি। কৃষকদের লাভবান করতে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল গ্রামের কৃষক হান্নান সরকার বলেন, চলতি রবি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে ২ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন। এতে বীজ-সার-শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে ৪৮ হাজার টাকা। আরও প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করবেন।
তিনি আরও বলেন, সবজি ফসলের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল স্কোয়াশ। কৃষি বিভাগ কর্তৃক সঠিক পরামর্শ পেলে আগামী বছর পাঁচ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।