২০২৩ সালে সড়কে দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৬ হাজার ২৬১ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭২ জন। সবচেয়ে প্রাণহানী হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ২ হাজার ৩১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ১৫২ জন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেল এবং নিউজ পোর্টালের খবরের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৯ বছরে নিবন্ধিত যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল এবং ইজিবাইকের মতো ছোট বাহনের সংখ্যা চার পাঁচ গুণ বেড়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাতীয় মহাসড়কে চলছে তিন চাকার যানবাহন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ১ হাজার ৯৫০ চালক, ৯৬৮ পথচারী, ৪৮৫ পরিবহন শ্রমিক নিহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। ৬৯৭ শিক্ষার্থী ও ৯৭ জন শিক্ষকের প্রাণ গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫৪ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯৮৫ জন নারী ও ৬১২ জন শিশু রয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির নামের বেসরকারি একটি সংগঠনের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোববার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনা ও নিহতের তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এতে বলা হয়েছে, গত বছরে ৫২০ রেল দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত হয়েছেন। ১৪৮টি নৌ দুর্ঘটনায় ৯১ জনের প্রাণ গেছে। নিখোঁজ হয়েছেন ১০৯ জন।
https://666cabcbb748c41b92fc176e21ef2d35.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-40/html/container.html দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, রাস্তার নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধ চলাচল, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছোট গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধিসহ ২৩ কারণ চিহ্নিত করা রয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে ১৪ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ছিল ৮ হাজার ৫৫০ যানবাহন। যার ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ, কাভার্ডভ্যান, লরির মতো পণ্যবাহী যানবাহন, ২৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রো বাসের মতো যাত্রীবাহী ছোট যানবাহন। দুর্ঘটনার পতিত যানবাহনের ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ ছিল নছিমন-করিমনের মতো অননুমোদিত যানবাহন। পথচারীকে চাপা দেওয়ায় ৫২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ, গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। জাতীয় মহাসড়কে ৩৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ, আঞ্চলিক মহাসড়কে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ১৭ জানুয়ারি একদিনে সর্বোচ্চ ৪১ জনের প্রাণ যায় সড়কে। ২৬ মার্চ সবচেয়ে ৯ দুর্ঘটনায় নিহত হন সর্বনিম্ন ৮ জন।