উড়ে আসার কথা ছিল ডেভ হোয়াটমোরের। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক হেড কোচ অজ্ঞাত কারণে পুরোনো ওয়ার্কিং স্টেশনে ফিরতে পারছেন না। তাতে যা দাঁড়িয়েছে এবার সাত দলের সবাই স্থানীয় কোচ। ঢাকার দায়িত্বে খালেদ মাহমুদ। কুমিল্লার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, খুলনার তালহা জুবায়ের, রংপুরের সোহেল ইসলাম, বরিশালের মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তুষার ইমরান এবং সিলেটের রাজীন সালেহ।
এমন দল নিয়ে খালেদ মাহমুদ প্রত্যাশার কথা শোনালেন এভাবে, ‘আমি এখনই বলব না চ্যাম্পিয়ন হতে চাই, নিশ্চিতভাবে সবাই চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যে দল গড়ে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নটা লাক, প্রথম স্টেজটা সেমিফাইনাল খেলা ভালো ক্রিকেট খেলা।’
দুর্দান্ত ঢাকার জন্য বড় খবর টুর্নামেন্টের শুরু থেকে তারা একাদশে তাসকিন আহমেদকে খেলাতে পারবে। ইনজুরি থেকে তাসকিন দ্রুত সেরে উঠছেন। ছন্দে ফিরে পুরোদমে করছেন বোলিং। তাকে নিয়ে আশার কথা শোনালেন খালেদ মাহমুদ, ‘প্রথম ম্যাচ থেকে তাসকিন অ্যাভেইলঅ্যাবল। ও প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ও সবচেয়ে ভালো বোঝে জিনিসগুলো কি করতে হবে। আজ যেমন আমি চাচ্ছিলাম না খুব বেশি বল করুক। যদিও ওর বোলিং ডে ছিল। তো এইটা ও মেইন্টেইন করছে জাস্ট। আমার মনে হয় তাসকিন রেডি। আমার কোনো ডাউট নাই, ওরও কোনো ডাউট নাই। হি ইজ ভেরি গুড ইন শেপ।’
মোসাদ্দেক ও নাঈম শেখদের মতো খেলোয়াড় থেকে চাপবিহীন ক্রিকেটের প্রত্যাশায় কোচ, ‘এটা আরেকটা সুযোগ ওদের জন্য নিজেকে শো করার। আমি মনে করি, তারা সিরিয়াস এই ব্যাপারে। এটা তাদের আরেকটা সুযোগ। আমার মনে হয় যে, এমন একটা দলে ওরা খেলছে যেখানে ওদের কোনো চাপ নেই। এটা অনেক বড় ব্যাপার ওদের জন্য। অনেক সময় যেটা হয় বড় টিমে প্রত্যাশা বেশি থাকে, চাপটাও বেশি থাকে।’
তারকাহীন দল চ্যালেঞ্জ কেমন এমন প্রশ্নের উত্তরে খালেদ মাহমুদ যোগ করেন, ‘যেহেতু আমাদের নাম নেই, কাগজে-কলমে সবাই হয়তো ৬-৭ নম্বর দল বলবে- সেই হিসেবে আই ডোন্ট মাইন্ড অ্যাট অল। এই ধরনের দল নিয়ে কাজ করাটা বেশি আনন্দের থাকবে। কারণ, হারানোর ভয়টা খুব বেশি নাই। আমরা যেটাই করব, সেটাই আমাদের পাওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের দলে এমন নাই যে, সামর্থ্য নাই। সামর্থ্য ঠিকই আছে কিন্তু নাম নেই। আমি কাগজে কলমেও বিশ্বাস করি না খুব একটা। টি-টোয়েন্টি এই ফরম্যাটে স্পেশালিস্ট কেউ নাই। ইন্টারন্যাশন্যাল প্লেয়ারও ওইভাবে নিতে পারিনি। আমাদের বাজেটও এতো বেশি না। আমি এক ফোঁটাও বিচলিত না।’
স্থানীয় কোচরা ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আস্থা অর্জন করে দায়িত্ব পেয়েছেন। কেউ কেউ সহকারী কোচ থেকে হয়েছেন প্রধান কোচ। স্থানীয় কোচদের এমন এগিয়ে আসায় দারুণ উচ্ছ্বসিত কোচ খালেদ মাহমুদ। রোববার মিরপুরে দুর্দান্ত ঢাকার অনুশীলন শেষে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা দারুণ। বিরাট বড় প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেশীয় কোচদের জন্য। যারা হয়তো এই বছর প্রথম হেড কোচ হিসেবে কাজ করবে তাদের জন্য তো অবশ্যই। প্লাস যারা সহযোগী কোচ আছে তারা সবাই বাংলাদেশি। অনেকে সুযোগ পাচ্ছে ট্রেনার ফিজিও, এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য ডেভেলপমেন্টের জিনিস। আমাদের ডেভেলপমেন্টের জন্য এটাও বড় স্তর।’
প্রায় শেষ মুহূর্তে দল গড়া ঢাকা তেমন বিগ বাজেটের দল তৈরি করেনি। নামে, কাগজে কলমে বেশ পিছিয়ে তারা। তাসকিন, শরিফুল, মোসাদ্দেক, নাঈম শেখদের মতো ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে। এছাড়া বিদেশিদের মধ্যে সামারাবিক্রমা, সিয়াম আইয়ুব, চতুরঙ্গ ডি সিলভা উল্লেখযোগ্য। বাকিরা তেমন পরিচিতও নয়।