সামনের দুই দাঁতের মাঝে ফাঁকা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। অনেকে প্রাণ খুলে হাসতে পারেন না। এটি কেন হয়? আর এর সমাধানই বা কী? তাই আজ জেনে নিন ফাঁকা দাঁতের সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে।
দাঁত ফাঁকা কেন হয়?
দাঁতসহ মুখের অন্য দাঁতের ফাঁকা সাধারণত জেনেটিক বা বংশগত কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ফাঁকা হয়ে যায়। মূলত এই সমস্যাকে মিডলাইম ডায়েস্টোমা (Midline Diastema) বলে।
কী চিকিৎসা আছে
বর্তমানে এ ধরনের সমস্যার জন্য আছে আধুনিক চিকিৎসা। ফাঁকা দাঁত পূরণ করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কম্পোজিট ভিনিয়ার বা লাইট কিউর ফিলিং। এ পদ্ধতির মাধ্যমে সামনের দাঁতসহ মুখের যে কোনো দাতের ফাঁকা বন্ধ করা যায় খুব কম খরচে কম সময়ে। কম্পোজিট ভিনিয়ারের মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকা বন্ধ করলে দাঁতের কোনো ক্ষতি হয় না। ন্যাচারাল দাঁত বা অরিজিনাল দাঁত কাটার কোনো প্রয়োজন হয় না। তাই এ চিকিৎসার সময় দাঁতে কোনো ব্যথা লাগে না।
লাইট কিউর ফিলিং বা কম্পোজিট ভিনিয়ার পদ্ধতির বিশেষ সুবিধা:
১. আল্লাহ প্রদত্ত দাঁত বা আসল দাঁত কাটার প্রয়োজন হয় না।
২. চিকিৎসা গ্রহণ করলে দাঁতের রুট ক্যানেল করতে হয় না। প্রয়োজন হয় না ক্যাপেরও।
৩. এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে দেখে বোঝা যায় না। দাঁতের সঙ্গে কালার ম্যাচিং করা হয়।
৪. অন্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় এ চিকিৎসা পদ্ধতির খরচ অনেক কম।
৫. মাত্র ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যেই চিকিৎসা সম্পন্ন করা যায়।
অসুবিধা কী?
কম্পোজিট ভিনিয়ার চিকিৎসা পদ্ধতির তেমন কোনো অসুবিধা নেই। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। তাহলে এ ধরনের দাঁত দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
চিকিৎসা কত বছর স্থায়ী হয়?
কম্পোজিট ভিনিয়ার সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর স্থায়ী হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, যেহেতু এটি ফিলিং করে করা হয়; সেহেতু ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
চিকিৎসার খরচ
মূলত খরচ নির্ভর করে রোগীর অবস্থা, ডাক্তারে ডিগ্রি, এলাকা এবং চেম্বারের মানভেদে। তবে সামনের দুই দাঁতের ফাঁকা বন্ধ করতে বর্তমানে খরচ হয় প্রায় ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা।