ডিসেম্বর মাসে সার্বিকভাবে সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি (+১৫২%) বৃষ্টিপাত হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ ১ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় ও ৩ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়। শক্তিশালী হয়ে পরদিন এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে দূর্বল হয়।
ডিসেম্বরে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৭ মি.মি. যশোরে। গত ৩ ডিসেম্বর এ মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল চট্টগ্রামে ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানুয়ারি মাসে দেশে একটি বা দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে।
জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে আরও বলা হয়েছে— এ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ মাসে দেশের উত্তর, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ পরিস্থিতি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।