খেলার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল চেলসি ফুটবলারদের দখলে। গোলের চেষ্টাও ছিল তাদের বেশি। কিন্তু গোল লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছে কেবল ৫টি। অন্যদিকে খেলার মাত্র ৩১ ভাগ বল দখলের সুযোগ পেয়েও ৬বার চেলসির জালে শট নিয়েছে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স। যার ২টিই খুঁজে পেয়েছে ঠিকানা।
খেলার বিপরীত এই ফল ম্যাচের শেষ পর্যন্তই বহাল ছিল। যে কারণে ক্রিসমাস ডে’র আগেরদিন খেলতে নেমে সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। বরং, উলভসের কাছে ২-১ গোলের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে চেলসি।
ম্যাচি শেষ হচ্ছিলো ১-০ গোলেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তের নাটক বাকি ছিল তখনও। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে, ইনজুরি সময়ে (৯০+৩ মিনিটে) দ্বিতীয় গোল করে চেলসির পরাজয় নিশ্চিত করেন ম্যাটি দোহার্তি। ইনজুরি সময়ে এসে একটি গোল পরিশোধ করে দেয় চেলসি। ৯০+৬ মিনিটে চেলসির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ক্রিস্টোফার এনকোকু।
এই পরাজয়ের পরও চেলসি রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বর স্থানে। ১৮ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ২২। অন্যদিকে জিতেও সমান অবস্থানে উলভারহ্যাম্পটন। ১৮ ম্যাচে তাদেরও পয়েন্ট ২২। যদিও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। রয়েছে ১১ নম্বরে।
সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে লিভারপুলের কাছে হেরেছিলো উলভারহ্যাম্পটন। এরপর টানা ৭টি ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে তারা। সর্বশেষ চেলসিকেও হারালো নিজেদের মাঠে। মারিও লেমিনা এবংম্যাট দোহার্তির গোলেই দুর্দান্ত এই জয়টি তুলে নিয়েছে তারা। চেলসির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ক্রিস্টোফার এনকোকু।
একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের মধ্য দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে চেলসি। অথচ কোনো গোলই পায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ধারার বিপরীতে গোল হজম করে বসে তারা। ৫১তম মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে হেডে চেলসি জাল ভেদ করেন লেমিনা।