আজ ২৫ ডিসেম্বর সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান। গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইন কেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে নাশকতার মূলহোতা ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির। রেললাইন কাটায় সরাসরি অংশ নেন গাজীপুর মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইমন হোসেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে কাটার ও রেললাইন কাটার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিলো নাট-বল্টু খুলে রেল চলাচল বিঘ্ন ঘটাবে। কিন্তু কয়েকবার চেষ্টা করে সেটি করতে পারেনি। তাই কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাটার সিদ্ধান্ত নেয়।
সিটিটিসি জানায়, কবির ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০টি নাশকতার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এছাড়াও সে লেগুনা হেল্পারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি।
সিটিটিসি প্রধান জানান, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কাছে থেকে রেললাইন কাটার নির্দেশনা পান কবির। নির্দেশনা অনুযায়ী সে গাজীপুরে ছাত্রদলের দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে। একজন আজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্রদলের আহ্বায়ক তোহা, আরেকজন গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরা দুজন স্থানীয় এক কাউন্সিলরের বাসায় মিটিং করেন।
এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকোমোটিভ মাস্টারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।