ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে নিজের জুতার মধ্যে একটি বিশেষ বার্তা লিখে অনুশীলনে নেমেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা। তার সিদ্ধান্ত ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে সেই জুতা পরে মাঠে নামবেন। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। আইসিসি জানিয়ে দেয়, এ ধরনের বার্তাযুক্ত জুতা, জার্সি কিংবা ক্যাপ পরে কোনো খেলোয়াড় মাঠে নামতে পারবে না। সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত উসমান খাজা সেই বার্তা লেখা জুতো পরে মাঠে নামেননি।
যদিও এখনও পর্যন্ত খাজার এমন কাজের জন্য কোনো ধরনের শাস্তির ঘোষণা করেনি আইসিসি। তবে কোনো ধরনের শাস্তির ঘোষণা আসলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নিতে তার সামনে কোনো বাধা নেই। এ অপরাধে খাজাকে হয়তো ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করতে পারে আইসিসি।
তবে উসমান খাজা যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টেও কালো আর্মব্যান্ড পরিধান করেন, তখন দেখা যাবে আইসিসি তার বিরুদ্ধে কী ধরনের শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।
এর আগে খাজার জুতায় লেখা বিবৃতিকে রাজনৈতিক মতামত বলে উল্লেখ করে আইসিসি। যদিও এই অসি ক্রিকেটার আইসিসির বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মানবিক বিষয় বিবেচনা করেই জুতায় এমন বার্তা লেখা হয়েছে। ওটা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল না।
তবে, তিনি পিছিয়েও থাকেননি। ঠিকই পার্থ টেস্টে মাঠে নেমেছেন প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং আইসিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিনি বাহুতে পরে নেন কালো আর্মব্যান্ড।
কালো আর্মব্যান্ড পরার কারণেও এবার এই অসি ক্রিকেটারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আইসিসি। অনুমতি ছাড়া হাতে কালো আর্মব্যান্ড পরার কারণে খাজার বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
যে জুতা পরে মাঠে নামতে চেয়েছিলেন খাজা, গাজায় মানবিক সংকটের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘সকল মানুষের জীবনই সমান এবং স্বাধীনতা মানুষের অধিকার।’
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে আইসিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘উসমান খাজাকে পোশাক ও খেলার উপকরণ সংক্রান্ত আইন ভাঙার কারণে অভিযুক্ত করা হয়েছে। উসমান অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ও আইসিসির কাছে পূর্বানুমতি ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের ব্যক্তিগত বার্তা প্রদর্শন করেছেন। অথচ নিজস্ব বার্তা প্রদর্শনের আগে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’