আজ ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। বিএনপি যদি এই মুহূর্তেও নির্বাচনে আসতে চায়, সে সুযোগ আর নেই। তবে, রাজনৈতিকভাবে দলগুলো সমাধান করলে কমিশনকে পুরো প্রক্রিয়া জানাতে হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে চিন্তা করবে।
তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে যারা গোয়েন্দা বিভাগের আছেন, তারা অত্যন্ত তৎপর। তারা বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন জায়গা থেকে নিচ্ছেন। কোনও নাশকতার জন্য কেউ চেষ্টা করছে কি না, সে ব্যাপারে তারা অত্যন্ত সজাগ। তারা যেখানে যখন খবর পাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
যাদের ধরা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ৩০০ আসনের নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে সাড়া পড়েছে, এমন একটি আনন্দ উৎসবের অবস্থা হয়েছে- সেখানে এগুলো কোনও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি না।
ট্রেনে-বাসে আগুন দেওয়াসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ভোটে প্রভাব ফেলবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, বিশৃঙ্খলা করা আরপিও ও আচরণবিধি অনুযায়ী অপরাধ। সে অনুযায়ী আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। অপরাধগুলোর সঙ্গে কেউ সংশ্লিষ্ট থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, কোনও রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চায়, সেটা তাদের ইচ্ছা। রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তারা ভোটে অংশগ্রহণ না করতে পারে। স্বাধীনভাবে যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার আছে, তেমনই না করার অধিকারও আছে। একইসঙ্গে তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধও করতে পারেন, তাতেও কোনও সমস্যা নেই। তবে, এসব শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। কোনও নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।