সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের তারিখ পাঁচ দিন পেছানো হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩ জানুয়ারি থেকে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামবে। চিঠিতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পক্ষে সই করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মাদ মাসীহুর রাহমান।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৮ দিন মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী।
গত ২১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা পরিপত্রে জানানো হয়েছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে ১৩ দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনী রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য বাহিনীগুলোও এ সময়ে মাঠে থাকবে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২৯ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনি মাঠে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনী মোতায়েনে গত ১৭ ডিসেম্বর নীতিগত অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সেনা মোতায়েনে সশস্ত্র বাহিনীকে চিঠি দেয় ইসি।
আরও জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’র আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সীমা ব্যতীত) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ প্রদান করা হলো।
সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োজিত দলসমূহ ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনি বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত ‘ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’র ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনি কাজে অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবে।