সম্পর্কে সুন্দর রাখতে সততা, স্বচ্ছতা বজায় রাখা দরকার। এগুলো সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে। পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা, বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়। তবে কখনও কখনও কোনো কোনো সত্য সম্পর্কে দুরত্ব তৈরি করে বলেই মনে করছেন থেরাপিস্টরা। যেমন-
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের সম্পর্কে নেতিবাচক মতামত: সঙ্গীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের সম্পর্কে কখনও নেতিবাচক কথা বলবেন না, সেটা যতই সত্যি হোক না কেন। এতে দুটো মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে পারে।
অতীতে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলার ঘটনা : আগে কী হয়েছিল, সেসব নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভালো। যতক্ষণ না বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে ততক্ষণ পর্যন্ত আগ বাড়িয়ে এসব নিয়ে কথা বলবেন না। মনে রাখবেন, সন্দেহ সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। আপনি যদি অতীতে কোনও কারণে সম্পর্কে ঠকে থাকেন তাহলে সেটাকে শিক্ষা হিসাবে গ্রহণ করুন।
প্রাক্তনের সঙ্গে তুলনা: কথায় কথায় প্রাক্তনের বিষয়ে কথা বলা বা তুলনা আপনার বর্তমান সঙ্গীর আত্মবিশ্বাসকে ক্ষুন্ন করতে পারে। পুরনো সেই স্মৃতিগুলো নিজের কাছেই রাখুন। আপনার রোমান্টিক ইতিহাসের প্রতিটি দিক খুব বেশি প্রকাশের প্রয়োজন নেই।
চেহারা নিয়ে অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা: সঙ্গীর চেহারা বা শারীরিক গঠন যাই হোক তা নিয়ে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। এ নিয়ে অযৌক্তিক সমালোচনা করাও ঠিক নয়। ওজন, বয়স, বা ব্যক্তিগত সাজসজ্জার অভ্যাস সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে সচেতন থাকুন।
এসব ছাড়াও সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। এতে সম্পর্কের জটিলতা বাড়ে। পাশাপাশি নিজের বন্ধুদের ব্যক্তিগত বিষয় সঙ্গীকে জানাবেন না। এতে পরবর্তী সময়ে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।