কাঁচা মরিচের পাশাপাশি রান্নায় গুঁড়া মরিচের ব্যবহার অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। কাঁচা মরিচের ঝাল যেমন একরকম স্বাদ এনে দেয় খাবারে, শুকনো মরিচের ঝালও তেমন আরেক রকম ঝাল এনে দেয়। বেশিরভাগ পরিবারেই বাজার থেকে কিনে আনা শুকনো মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। এসব মরিচে ভেজাল হিসেবে কখনও ইটের গুঁড়ো দেওয়া হয়, কখনও আবার রাসায়নিক। কী করে বুঝবেন মরিচের গুঁড়া খাঁটি না ভেজাল। এর জন্য কয়েকটি সহজ পরীক্ষা রয়েছে। যেমন-
পানি দিয়ে পরীক্ষা: এক গ্লাস পানি নিন। এবার এর মধ্যে এক চামচ লাল মরিচের গুঁড়া ঢেলে দিন। এবার সেই পানি মেশানোর মরিচের গুঁড়া হাতে নিয়ে সামান্য ঘষে দেখতে হবে। যদি শক্তি দানা মতো লাগে, তাহলে বুঝতে হবে তাতে ভেজাল রয়েছে। আর ভেজাল হিসেবে মেশানো হয়েছে ইটের গুঁড়ো। আর তা না হলে বুঝবেন একেবারে খাঁটি মরিচের গুঁড়াই কিনেছেন।
হাত ঘষে পরীক্ষা: অনেক সময় মরিচের গুঁড়ার মধ্যে সাবান জাতীয় রাসায়নিক পদার্থও মেশানো হয়ে থাকে। সেটিও একইভাবে পরীক্ষায় ধরা পড়ে। উপরের মতোই প্রথমে গ্লাসে পানি নিতে হবে। এর পর তাতে এক চামচ মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দিন। নিচে থিতিয়ে পড়া অংশ তালুতে তুলে নিন। এবার ঘষে দেখুন। যদি সাবানের মতো ফেনা হয়, তবে তাতে ভেজাল রয়েছে। আর যদি ফেনা না হয়, তবে বুঝবেন মরিচের গুঁড়া খাঁটি।
রঙ মেশানো কি না তার পরীক্ষা – মরিচের গুঁড়াতে রং মেশানো হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতেও লাগবে পানি। এবার একটি কাঁচের পাত্র লাগবে। এতে পাশের দিক থেকে পানি দেখা যাবে। পানির মধ্যে এক চামচ মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবারে দেখুন কীভাবে থিতিয়ে পড়ছে ওই গুঁড়া। যদি পানির মধ্যে কোনও লাল রং ছাড়াই মরিচের গুঁড়ো থিতিয়ে পড়ে, তবে বুঝবেন এই গুঁড়া একদম খাঁটি। কিন্তু পানির রং কিছুটাও যদি লাল হয়, তবে তাতে রঙ রয়েছে বুঝতে হবে। অর্থাৎ মরিচের গুঁড়া ভেজাল।