আজ ২৮ মাঘ। দুই দিন পরই শুরু হচ্ছে ফাল্গুন। এবার শীত বিদায়ের পালা। শীতের প্রভাব কমে এ মাসে শুরু হবে গরমের অনুভূতি। শুরু হবে প্রকৃতির রঙ পরিবর্তন। মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের অনুভূতি থাকার আভাস ছিল। কিন্তু তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। তবে আরেক দফা শীত পড়ে বৃষ্টি নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে আগামী বুধবার মধ্যরাতের পর থেকে খুলনা ও রাজশাহী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনে বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দেশের ১৯ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও এক দিনের ব্যবধানে কমেছে বিস্তৃতি। গতকাল শনিবার দেশের ছয় জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আজ রোববার তা কমে চলছে দুই জেলায়। এরপর আরেক দফা শীতের পর বৃষ্টি নামতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী তিন থেকে চার দিন পর প্রখর রোদ দেখা যাবে। এরপর আরেক দফা শীত পড়ে বৃষ্টি নামতে পারে। নিনোর দাপটে এ বছর রেকর্ড গরম পড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছরও মার্চ থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। এ বছর সেই রেকর্ড ছাপিয়ে মার্চেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, শীতের বিদায় আসন্ন। একটু একটু করে চড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। মার্চের শুরু থেকেই তাপদাহ অনুভব করতে পারে দেশের মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়।
কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার অর্থ হচ্ছে, সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, শহর এলাকায় তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও গ্রামের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে তাপমাত্রা কম। তিনি জানান, গত মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট চার দফায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এমনকি দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় একসঙ্গেও শৈত্যপ্রবাহ ছিল কয়েক দিন।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে আগামী বুধবার মধ্যরাতের পর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ১০ থেকে ৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে খুলনা ও ঢাকা বিভাগের মধ্যবর্তী জেলাগুলোতে।