দুর্বল ব্যাংক সংস্কারের বড় উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামীতে সবল কোনো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংক একীভূত হবে। খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য ব্যাংকগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
বুধবার ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকার্স সভায় এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও ডেপুটি গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকার্স সভায় দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদহার, ডলারের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি, মামলায় আটকে থাকা অর্থ আদায়ে পদক্ষেপ ও ব্যাংক খাত সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়। একইসঙ্গে প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সভার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর সংস্কারের জন্য প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ঘোষণা করা হয়। সেখানে সংস্কারের ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যাংকগুলোর অবস্থান নির্ণয় করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা দেওয়া আছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব ধরে আগামী বছরের মার্চ নাগাদ ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা শুরু হবে।
এজন্য ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের ব্যক্তিগত ভাবে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। আর যেসব ব্যাংকের অবস্থা একেবারেই দুর্বল তাদের ঋণ বিতরণ, আমানত সংগ্রহ থেকে শুরু করে কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকের একীভূত (মার্জার) করেও দেওয়া হতে পারে। তবে এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলো যদি তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে তাহলে তো কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা আসবে না।