অনেক শিশুই পানি খেতে চায় না। পানি খাওয়ার কথা বললেই ছুটে পালায়। সেই কারণে তাদের শরীরে পানির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। অথচ শরীরে রক্ত থেকে শুরু করে প্রস্রাব, উৎসেচক তৈরি, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়াসহ একাধিক জরুরি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পানি। তাই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির জোগান থাকা ভীষণই জরুরি। এ কারণে যেভাবেই হোক শিশুকে পানি খাওয়াতেই হবে। সেক্ষেত্রে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন।
বুঝিয়ে বলুন : ছোটদেরকে চাপ দিয়ে না বলে বুঝিয়ে বললেই সহজে কাজ হয়। তাকে পানির গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। এমনকী পানি না খেলে তার কী কী সমস্যা হতে পারে, সেই বিষয়গুলি সম্পর্কেও তাকে জানান। কয়েকদিন বললে ধীরে ধীরে সে বিষয়টা বুঝবে।
আপনাকে দেখেই শিখবে: বড়দের দেখেই শিশুরা শেখে। শিশুর মধ্য়ে পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে চাইলে আপনাদের বারবার পানি খেতে হবে। এই কাজটা তার সামনেই করতে হবে। তাহলেই শিশুর মধ্যে পানি খাওয়ার আগ্রহ জন্মাবে। আর তারপর সে নিজেই পানি খাবে।
বারবারে খাওয়ান : অনেক অভিভাবকই শিশুদের একবারে অনেকটা পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এটা না করে অল্প অল্প করে বারবার পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন সে পানি খেতে আগ্রহী হবে।
ফলের রসও সেরা বিকল্প : ডাবের পানি ছাড়াও এই সমস্যা সমাধানে শিশুকে বাড়িতে মৌসুমি ফলের জুস করে খাওয়াতে পারেন। এতে একদিকে যেমন শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে তেমনি ভিটামিন ও খনিজের অভাবও পূরণ হবে। তবে দোকান থেকে কেনা জুস না খাওয়ানোই ভালো।
ডাবের পানি খাওয়ান: শিশু পানি খেতে না চাইলে তাকে দিনে অন্তত একটা ডাবের পানি পান করাতেই হবে। এতে তার শরীরের পানির ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। এমনকী তার শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্যও ফিরে আসবে। সহজে পানিশূন্যতা হবে না।